বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, আপনারা প্রতিটি গ্রামে, পাড়া-মহল্লায়, ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিবেন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী মানে সমাজকর্মী এবং মূল্যবোধ সমৃদ্ধ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কর্মী। মানবতার চরম অবক্ষয়ের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদেরকে এর জিম্মাদারী নিতে হবে। দিশেহারা, পথহারা, সুদ-ঘুষ, অন্যায়-অত্যাচারে নিষ্পেষিত এই জাতিকে আলোকবর্তিকা দেখানোর জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মীদের মশাল হাতে এগিয়ে আসতে হবে। দেড় হাজার বছর আগে হেরার গুহা থেকে যে আলোকবর্তিকা বিশ্ববাসীকে আলোকিত করার জন্য প্রজ্জ্বলিত হয়েছে আমরা ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই জমিনে সেই কুরআনের মশাল প্রজ্জ্বলিত করতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আজও শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। বিগত সময়ে সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামী দিনে এদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের দিয়ে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন’ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। তৃণমূল সংগঠন শক্তিশালী হলে জাতীয় সংগঠন মজবুত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা এবং মালিকের প্রাপ্য সেবা যেমন ভারসাম্য ইসলামে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। শনিবার (২৭ জুন) খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে সবুজবাগ থানা কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি খান আব্দুল ওয়াহেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হকের পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য আজিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জিএম শহিদুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম নাঈম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা, শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল বারেক প্রমুখ।