আবদুল হাই ইদ্রিছী, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তরুণ কৃষক আব্দুল মান্নান। সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে আগাম টমেটো আবাদ করে তিনি এবার ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন। তার সাফল্য দেখে স্থানীয় আরও কয়েকজন কৃষক একই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেছেন।
মালচিং পদ্ধতিতে জমি বিশেষ ধরনের পলিথিনের মাধ্যমে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে জমিতে আগাছা জন্মায় না, পানি অপচয় হয় না এবং সার নষ্ট হয় না। ফলে জমির উর্বরতা বজায় থাকে, গাছ বেশি দিন ফলন দেয় এবং খরচও তুলনামূলকভাবে কম হয়।
আব্দুল মান্নান জানান, এবছর তার উৎপাদন খরচ হবে প্রায় ২২-২৫ লাখ টাকা। বর্তমানে বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০-১২০ টাকায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার ৫০-৬০ লাখ টাকার টমেটো বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছর ১০ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করে তিনি খরচ বাদে ২৫-২৬ লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবছর আরও বড় পরিসরে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করছেন তিনি। ফলে এ পদ্ধতির প্রতি কৃষকদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, “মালচিং পদ্ধতিতে টমেটোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং গ্রীষ্মকালীন মৌসুমেও ফলন ভালো হয়। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।”
বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ হচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।