রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় তিন দিন ধরে বন্ধ থাকা একটি কক্ষ থেকে তানভীর কুরাইশী জামি (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার বন্ধ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তানভীর কুরাইশী স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে। বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালিত হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় বসবাস করতেন তানভীর কুরাইশী। গত দুই দিন ধরে ভবনের ভাড়াটিয়ারা পানির সংকটে ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে তারা বাড়ির মালিককে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে থানায় খবর দেন। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে কক্ষে তানভীর কুরাইশীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি সেখানে একাই বসবাস করতেন। ঘটনাস্থলে তার কোনও স্বজনকেও পাওয়া যায়নি।

রাজশাহীতে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে স্বামী গ্রেপ্তার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্ত্রীর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মো. সুরুজ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। সুরুজ বাঘার চক নারায়ণপুর গ্রামের শহিদুল মাঝির পুত্র।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর সিপিএসসি ও র‌্যাব-৪ এর মিরপুর ক্যাম্পের সদস্যরা এ যৌথ অভিযান চালান। শনিবার সকালে র‌্যাব-৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রায় দশ বছর আগে অনন্যা খাতুন মুন্নির (২৫) সঙ্গে সুরুজের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আড়াই লাখ টাকা যৌতুক চাওয়া হতো। মুন্নির পরিবার ২০১৮ সালের মে মাসে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপরও সুরুজ আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় মুন্নিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সুরুজ আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও অপমান করেন। পরদিন ভোর পৌনে চারটার দিকে সুরুজ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। এরপর পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মুন্নির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে সেদিনই বিকেলে মুন্নি হাসপাতালে মারা যান।