বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবে ৩৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও সাবেক ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, মোঃ সোহরাব হোসেন, (যুগ্ম সচিব), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), বরিশাল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, আঞ্চলিক উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, মোঃ হারুনুর রশীদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল, গাব্রিয়েল গাইন, প্রধান শিক্ষক, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সানুয়ার হোসেন, সার্কেল হেড , বরিশাল ডিভিশন, গ্রামীণফোন লিমিটেড ও শামীম আল মামুন, পরিচালক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে পর্বে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্ট্রি খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বই পড়লে মন ভালো থাকে, উৎফুল্ল থাকে, মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। যে বই আমাদের স্বপ্ন যোগায়, সেই বই আমাদের পড়া উচিত। তোমরা বই পড়াকে দায়িত্ব মনে না করে, আনন্দ মনে করবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সারাদেশব্যাপী তোমাদের আনন্দ দেবার জন্যই এই বইপড়া আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও যুগ্ম সচিব মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, তোমার একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ অন্যান্য ভাল বইগুলো পড়বে। আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবার জন্য বইপড়া খুবই দরকার বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বক্তারা, বরিশালের ৭৫০ টি স্কুলের সকল বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি চালুর আবেদন জানান।
গ্রামীণফোনের বরিশালের সার্কেল হেড সানুয়ার হোসেন বলেন ”তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বই পড়া কর্মসূচিতে আজকের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের জানাই অভিবাদন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন স্বাগত বক্তব্যে বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান।