চট্টগ্রাম নগরীতে একটি কনসার্টে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জিইসি মোড়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এতে শরীফ (২০) নামে এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি খুলশি থানার ডেবারপাড় এলাকার বাসিন্দা শফিকুর রহমানের ছেলে। এছাড়া আরও একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তবে তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) জানিয়েছে, মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হোন্ডা ওই কনভেনশন সেন্টারে একটি করপোরেট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবেই ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান বা কনসার্ট, কিন্তু এর জন্য আলাদা অনুমতি নেওয়া হয়নি।

অনুষ্ঠান চলাকালে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক ভাঙচুর শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়ে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) শ্রীমা চাকমা বলেন, হোন্ডা আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে কিছু তরুণ ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, জিইসি মোড় থেকে শরিফ নামে এক গুলিবিদ্ধ যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটকে একদল যুবক ভাঙচুরের চেষ্টা করছে, আর ভেতর থেকে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামলাতে গুলিবর্ষণ করছেন।

খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর জামান বলেন, জিইসি কনভেনশন হলে কনসার্ট আয়োজনের কোনো অনুমতি ছিল না। তবে হোন্ডার মূল করপোরেট অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ব্যান্ডদল আর্টসেল মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করার পর অনুষ্ঠান শেষের ঘোষণা দিলে

শ্রোতাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় কিছু যুবক রাজনৈতিক স্লোগান দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

তবে পুলিশের দাবি, স্লোগান নয়, ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার কারণেই পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।