মতলব উত্তর (চাঁদপুর) সংবাদদাতা : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। প্রায় রাতেই উপজেলার কোথাও না কোথাও চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সংঘটিত হচ্ছে। লুট করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের টাকা-পয়সা ও মানুষের বসতঘরের মূল্যমান মালামাল। সম্প্রতি মাওলানা বদিউজ্জামান বাহারের মাদরাসার সামনে অবস্থিত বিজিবি সদস্য মো. নাঈমের বসতঘরে তালা ভেঙে এবং শাবল দিয়ে স্টিলের আলমারি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ঘরের মালামাল লুটে নেয় ডাকাতরা।
পৌরসভার বারোআনী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন দেওয়ান বলেন, আমি গরুর ব্যবসা করি আমার বাড়ীতে ৩টি গরু ছিলো একদল ডাকাত রাতের আধারে পিকআপ ভ্যানে করে গরুগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আমার ২ছেলে ডাকাত দলকে বাঁধা দিলে ছুরি, চাপাতি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। সাহাবাজকান্দি গ্রামের অটো-চালক নুর হোসেন বলেন, কিস্তি উঠিয়ে ও ধারদেনা করে একটা গাড়ী কিনেছিলাম সপ্তাহ খানেক চালানোর পর গাড়ী চার্জে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সকালে উঠে দেখি গাড়ী চোরে নিয়ে গেছে। গজরা ইউনিয়নের শাহাদাৎ বলেন, শশুর বাড়ী থেকে কিছু টাকা এনে পুরাতন একটা অটোগাড়ী কিনেছিলাম বৃষ্টির মধ্যে গাড়ী চার্জে লাগিয়ে ঘুমাতে যাই গভীর রাতে উঠে দেখি আমার গাড়ী নাই, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পর ফেসবুকে গাড়ীর ছবি দিলে ১৮দিন পরে শাহরাস্তি থেকে গাড়ী উদ্ধার করে নিয়ে আসি। বাড়ী ভাঙা গ্রামের মোহন মিয়া বলেন, গত দুইদিন আগে আমার ঘরের আলমারি, সোকেস এর তালা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার চুরি করে নিয়ে যায়। আমিনপুর গ্রামের সোহাগ বলেন, আমার অটো গাড়ীর ব্যাটারী গুলো রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায়, এখন আমার গাড়ীটা বাড়ীতে পরে আছে কিস্তি তুলে গাড়িটা কিনে ছিলাম, এখন কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছি না।
গত ১মাসে এ উপজেলায় কয়েকটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যান। এর কয়েকদিন পর পুলিশ কাজে ফিরলেও তাদের মধ্যে এখনো ভীতি কাজ করছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এখানে কঠোর না হওয়ায় দিন দিন এখানে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।