গাইবান্ধা সংবাদদাতা: গত ১৬ আগস্ট শনিবার রাজধানীর আল ফালাহ মিলানায়তনে ঢাকাস্থ গাইবান্ধা বাসীর উদ্যোগে এক বৃহৎ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শাখার সাবেক শিবির ও জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক জনশক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এই মতবিনিময় সভায় গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি উপজেলার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেনÑ গোবিন্দগঞ্জ আসনের ডা. আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধা সদরের জেলা আমীর আব্দুল করিম, সাঘাটা ফুলছড়ি আসনের জেলা নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, সুন্দরগঞ্জ আসনের নায়েবে আমির অধ্যাপক মাজেদুর রহমান ও পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুর আসন এর মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের তরুণ নেতৃত্ব।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গাইবান্ধা একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিচিত। এ জেলার মানুষ সর্বদা গণতন্ত্র, অধিকার এবং আদর্শিক রাজনীতির পক্ষে থেকেছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা সময়ের প্রধান দাবি।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে শহীদদের ত্যাগ ও স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংগ্রাম কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, বরং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার এবং কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণের জন্য।
প্রধান অতিথি আব্দুল হালিম বলেন, “বর্তমান সময়ে জনগণ পরিবর্তন চায়। মানুষ চায় একটি সৎ, নীতিবান ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতির এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”
বিশেষ অতিথি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেন, “আমরা যে মূল্যবোধের রাজনীতি করি তা হলো ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি। শহীদদের স্মৃতি আমাদের প্রেরণা। এই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা জনগণের পাশে থাকব এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে আরও বেগবান করব।”
অনুষ্ঠানে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্তরের সাবেক ও বর্তমান নেতৃত্বসহ ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক ও অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভা শেষে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সাহসী পদক্ষেপই দেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাব।