নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা : নেছারাবাদ উপজেলায় মন্দিরসমূহের কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন পিরোজপুর-২ আসনের বিএনপি’র সংসদ সদস্য প্রার্থী। সম্প্রতি নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি’র নির্বাচনী কার্যালয়ের হলরুমে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমন, সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা সংখ্যালঘু হবেন কেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশী, আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক, এটাই আমাদের বড় পরিচয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

খুলনা

খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুজ্জামান মিঠুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নগরীর গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা রঞ্জু মনোয়ারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিকদের মারপিট ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ময়ূর নদী ব্রিজের পাশে এম এ বারী লিংক রোডে দেনারাবাদ মৌজায় আমাদের ৭১ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১২ দাগে আমার নামে ২০ শতক এবং ১৩ দাগে ৫১ শতক জমি আমার স্বামী মো. শাহজালালসহ তার ৬ ভাই-বোনের নামে দলিল রয়েছে। এই দুই দাগের ৭১ শতক জমি তিন পাশ প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে আগেই। কিন্তু সামনের অংশের অর্থাৎ ১২ দাগের সামনের অংশ ফাকা থাকায় গত ১৯ নভেম্বর (বুধবার) সকালে আমরা সেখানে শ্রমিক লাগিয়ে প্রাচীর নির্মাণ কাজে হাত দেই। সকাল ৮টা থেকে কাজ শুরু হওয়ার পর আমার স্বামী নাস্তা করার জন্য বাড়িতে আসেন। বেলা ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদুজ্জামান মিঠুর নেতৃত্বে ৯-১০ জন সন্ত্রাসীরা এসে দেয়াল নির্মাণে বাধা দেয় এবং শ্রমিকদের মারধোর করে কাজ বন্ধ করে দেয়। নিরীহ শ্রমিকদের মারধোর করার ফলে তারা উত্তেজিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই সন্ত্রাসীদের বেধরক মারপিটে আমাদের কয়েজন শ্রমিক গুরুতর জখম হন। একই দিন বিকেলে সন্ত্রাসীরা ফের জমিতে গিয়ে নির্মাণাধীন প্রাচীর পুরোপুরি ভেঙে দেয়। এরপর ওই সন্ত্রাসীরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা থেকে পরপর দুইবার বিবাদীদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য নোটিশ করা হলেও তারা থানায় আসেনি। বরং সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমার শ্রমিকদেরকে মারধোর ও দেয়াল ভেঙে দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙিয়ে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার এই সন্ত্রাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চায় তারা।

সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ও সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রার্থীতা বাতিল সহ তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে তারেক রহমানকে চিঠি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী ও স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা।

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়া-২ ভেড়ামারা-মিরপুর আসনের বিএনপি ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ভেড়ামারা বিএনপি মশাল মিছিল করেছে। গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের লালন শাহ্ ব্রীজ থেকে ১২ মাইল খেজুর তলা পর্যন্ত মহাসড়কে তার মশাল হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় উত্তরাঞ্চলের সাথে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী শত শত গাড়ি আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভ এবং মশাল মিছিল শেষে ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম বলেন, অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের হাত ধরেই কুষ্টিয়াঞ্চলে বিএনপি শক্তিশালী হয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং কুষ্টিয়া-২ থেকে পরপর ৩বার সংসদ সদস্য। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। মিরপুর ভেড়ামারার ৯০ ভাগ নেতকর্মী তার উপরই আস্থাশীল। আওয়ামীলীগের ১৬ বছরের শাসনামল সহ প্রায় ৪০ বছর বিএনপি তথা ধানের শীর্ষের একমাত্র কান্ডারী তিনি। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের দ্বিধা বিভক্তি করা হয়েছে। ঘোষিত মনোনয়ন বাতিল করে অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম কে মনোনয়ন দেওয়া হলে তবেই হারানো এই আসন টি বিএনপি পুনঃরোদ্ধার করতে পারবে।