দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের পৃথক দুটি সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ৯ জুন সোমবার রাতে বিএসএফ ওই ২০ জনকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান। ১০ জুন মঙ্গলবার সকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিরল উপজেলার ধর্মযাইন এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন ওই ১৩ জন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী এবং নয়টি শিশু রয়েছেন। বিরল সীমান্তের কাউলিয়াপাড়ার ভারতের গোবরা বিল গেট দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়। একই রাতে চান্দুরিয়া সীমান্ত দিয়ে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও তিনজন শিশুকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদেরও আটক করেছে বিজিবি। জানা যায়, পুশইন করা নারী-পুরুষেরা খুবই ক্ষুধার্ত ও অসুস্থ ছিল। পুশইনকৃত নারী পুরুষরা জানায়, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএসএফ বাংলা ভাষাভাষীদের ধরে এনে জড়ো করে নির্যাতন করে এরপর আটককৃতদের পুশইন করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিরলের ধর্মযাইন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর ইসলাম। গ্রামবাসী জানায়, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আরো বাংলাভাষীদের পুশইন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ।

দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশি নাগরিক কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাছাড়া বেশ কিছুদিন থেকে বিএসএফ এই পুশইন অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রামবাসীকে নিয়ে এই পুশইন তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করছি।