খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য ৪০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার কীট না থাকায় অন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬০/৭০টি কীট ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার কীটের চাহিদা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে করোনা রোগী সনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মোহাসীন আলী ফরাজি বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য কেউ আসেননি। তবে আমরা প্রস্তুত আছি। করোনা রোগীদের জন্য ৪০ টি বেড প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১০ শয্যা আইসিইউ রয়েছে। তিনি বলেন, আপাতত হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কীট নেই। খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৬০/৭০ পিস কীট ধার করে আনা হয়েছে। যাতে কোন ব্যক্তি পরীক্ষা করতে এসে ফিরে যেতে না হয়। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার কীট চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে চাহিদাপত্র অনুযায়ী কীটগুলো পাওয়া যাবে। খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, তার হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য কোন শয্যা প্রস্তুতি নেই। আপাতত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা বেড প্রস্তুত রয়েছে। তার এখানেও পর্যাপ্ত পরিমান কীট নেই, তবে যা আছে তাতে আপাতত চলে যাবে। বর্তমানে ৪০০ কীট মজুদ আছে। আরও ৩ হাজার পিস কীটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: সৈকত মো: রেজওয়ানুল হক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের দুইবার জুম মিটিং হয়েছে করোনা দিকনির্দেশনা নিয়ে। গত ২ বছর করোনার কোন রোগী না থাকায় মজুদ থাকা পরীক্ষা কীটগুলো মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে গেছে। যার ফলে কতো মজুদ আছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো কি পরিমান কীটের চাহিদা আছে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ঈদের ছুটি চলছে, তাই আমরা জুম মিটিংয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের চাহিদাপত্র দিতে বলেছি।