যশোর সংবাদদাতা: যশোরে পুলিশ পরিচয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সাড়ে ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। অভিযানে ডাকাতদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি এবং লুণ্ঠিত স্বর্নের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার ফরিদ ভান্ডারির ছেলে নিশান হোসেন, শহরতলীর পুলেরহাট তফসীডাঙ্গা এলাকার ইয়ারব মোড়লের ছেলে মুসাব্বির হোসেন টুটুল, খড়কি বামনপাড়ার মৃত সোলেমান শেখের ছেলে মোহাম্মদ রতন শেখ এবং শার্শা উপজেলার গোগা গাজীপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন। এদের মধ্যে নিশান হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতিসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। তিনি যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও পরিচিত।

ডিবি পুলিশের এসআই অলক কুমার দে জানান, গত ১৪ জুলাই সকালে সাতক্ষীরার প্রগতি লেনস্থ আলী মার্কেটের ‘এসডি জুয়েলার্স’-এর মালিক সুধীর কুমার দাসের শ্যালক আনন্দ বসু ও কর্মচারী রাসেল গাজী যশোর শহরের বেজপাড়ার অরুপ চন্দের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ক্রয় করেন।

পরে তারা প্রাইভেটকারে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে যশোরের রাজারহাট রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে সাদা রঙের আরেকটি প্রইভেটকার তাদের গতিরোধ করে। ডাকাতরা পুলিশ পরিচয়ে গাড়ির ভেতরে ঢুকে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে, রাসেল ও আনন্দকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয় এবং চালক সত্যজিত দাসকেও নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয়। এসময় ডাকাতরা আনন্দ বসুর কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২৬ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

পরে মনিরামপুরের টেংরাখালী এলাকায় রাসেল গাজী ও আনন্দ বসুকে তাদের গাড়িসহ ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুদূর পর চালক সত্যজিতকেও নামিয়ে দেয় ডাকাতরা। এ ঘটনায় এসডি জুয়েলার্সের মালিক যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।