বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার প্রধান ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি কার্যকর উদ্যোগ। এছাড়া জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসক দিয়ে দায়িত্ব পালন করায় সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘব ও নিবাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই। এব্যাপারে বাস্তবতার আলোকে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে হবে।
তিনি গত শুক্রবার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে মহানগরের আওতাধিন সকল রুকনগণ অংশ নেন।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রধান লক্ষ্য থাকতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। দুনিয়া ও আখেরাতের জবাবদিহীতার ভয় একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মুত্তাকী হিসেবে গড়ে তুলে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের, বিশেষ করে জামায়াতের রুকনদের মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার মানসিকতা থাকতে হবে। জান ও মালের কুরবানির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলে সকল প্রচেষ্টা সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাস, ত্যাগ ও কুরবানীর ইতিহাস। আমাদের উপর সীমাহিন জুলুম-নিপীড়ন চালানো হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে আটকে রেখে শহীদ করা হয়েছে। নিবন্ধন ও প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি শেষ ুপর্যন্ত দলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলাম। যারা ন্যায় ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে তারাই বিজয় লাভ করে। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণেই আমরা বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণাকে কোনভাবেই মুছে দেয়া যাবে না। অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে সাহস ও ত্যাগের ইতিহাস রচনা করেছে সেটাকে ভুলে গেলে চলবে না। তাদের আত্মত্যাগকে বিসর্জন দিতে দেয়া হবে না। অন্যথায় ভবিষ্যতে কেউ জালিমের বিরুদ্ধে বুক পেতে দাঁড়াবে না। জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদেরকে সদা স্বোচ্ছার থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জনশক্তিকে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে হবে। সমাজের বিভিন্ন সংকট ও সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে সাংগঠনিক গণভিত্তি মজবুত করা সম্ভব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশত আসনেই প্রার্থীর প্রাথমিক সিলেকশন দিয়েছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদের বিজয়ী করবেন। তাহলে আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর, জনকল্যাণমূলক সমাজ উপহার দিতে সক্ষম হবো।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, বায়তুল মাল সম্পাদক মুফতী আলী হায়দার প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ইকামতে দ্বীনের কাজকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। সংগঠনের লক্ষ্যকে নিজের জীবনের লক্ষ্যে রূপান্তরিত করতে হবে। কুরআন ও হাদীসের অধ্যয়নের পাশাপাশি বাস্তব জীবনে কুরআন-হাদীস অনুসরণ করতে হবে। আমাদের চরিত্র ও নৈতিক মান যতবেশি উন্নত হবে তত বেশী আমাদের প্রতি জনগণের ভরসা ও আক্সক্ষা বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করা আমাদের কর্তব্য আর বিজয় দানের মালিক মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশেও ইসলামী আন্দোলন একদিন বিজয়ী হবে। কারণ এইদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হওয়া অনেকেরই সম্ভব হয় না। সেইক্ষেত্রে আমরা ভাগ্যবান। আমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেদেরকে শামিল করতে পেরেছি। সীমাহিন জুলুম নিপীড়ন উপেক্ষা করে দ্বীনের প্রতি অটল রয়েছি। ৫ আগস্টের জুলাই গণ অভ্যুত্থান ইসলামী আন্দোলনের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। জনগণের মধ্যে জামায়াতের ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জনগণের এই ভালবাসাকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীগণকে বিজয়ী করার পথ প্রশ^স্ত হবে।
সিলেটে নুর ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
কোরআনের পরিপূর্ণ অনুসরণই বৈষম্যহীন
শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের একমাত্র পথ-----ডা: শফিকুর রহমান
সিলেট ব্যুরো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন কোরআনের পরিপূর্ণ অনুসরণই বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের একমাত্র পথ। কোরআনভিত্তিক সমাজ ব্যব্যস্থা গড়তে হলে কোরআন পরিপূর্ণভাবে মানতে হবে নতুবা আল্লাহর শাস্তি অবধারিত। তিনি বলেন, কোরআন কিছু অংশ মানবো, আর কিছু অংশ মানবো না, এটা মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে নুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত অর্থসহ আমপারা মুখস্থ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যেখানে আল্লাহ নবী পাঠান নাই। কুরআনের ভাষা বিশ^ নবীর ভাষা। কোরআনই একমাত্র কিতাব, যেটা পৃথিবীর সকল ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। বাইবেলে হাত লেগেছে, কিন্তু কোরআনের একটি অক্ষরেও হাত লাগে নাই। এটা কোরআনের সবচেয়ে বড় মুযিজা। আমীরে জামায়াত বলেন, বিশ^নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে কোরআন নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি কোরআনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছেন। কেউ প্রমাণ করতে পারে নাই, তিনি কোরআনের বাইরে বেড়ে ওঠেছেন। কারণ আল্লাহপাক তাঁকে কোরআনে মোতাবেক গড়ে তুলেছেন।
নুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নূরের সভাপতিত্বে এবং আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সেক্রেটারী হাফিজ মিফতাহুদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ সাঈদ নুরুজ্জামান আল মাদানী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, দি সিলেট ইসলামী সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের প্রাক্তন আমীর হাফিজ শফিকুর রহমান মাদানী, ইকরা ইন্টারন্যাশনাল ইউকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ও জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান ক ও খ গ্রুপের প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিযোগীদের হাতে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এর বাইরে দুই গ্রুপ থেকে ৭ জন করে মোট ১৪ জনকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অর্থসহ আমপারা মুখস্ত প্রতিযোগিতায় ৫ শতাধিকেরও বেশি প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কূটনীতিকরা আমাদেরকে নানা প্রশ্ন রাখেন। তারা জানতে চান, আমরা ক্ষমতায় গেলে পোশাক কোড কী হবে, মাইনরিটি ও নারীর অধিকার কী হবে। আমরা তাদেরকে কোরআন মোতাবেক যতটুকু জানি, ততটুকু বলেছি। তাদেরকে বলেছি, আপনারাও কোরআন পড়তে পারেন। বেশরিভাগ কূটনীতিকই খ্রিস্ট্রান সম্প্রদায়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরকে বলি বাইবেল পড়েছেন কি না, তারা কেউই বাইবেল পড়েনি বলে জানায়। তখন আমি তাদেরকে বলেছি, আমি কিন্তু আপনাদের বাইবেল পড়েছি। আপনারা কোরআন পড়তে পারেন। সেখানে কী ম্যাসেজ দেওয়া আছে, সেটা জানতে পারেন। অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদেরকে কোরআন দিয়েছি। তারা জানার চেষ্ঠা করছে। তিনি কোরআন ও ইনসাফ ভিত্তিকে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোরআন শিক্ষার উপর জোর দেন।
আমীরে জামায়াত আরও বলেন, নুর ফাউন্ডেশনের অর্থসহ আমপারা মুখস্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন চমৎকার ও অনন্য বলে মন্তব্য করেছেন । আমরা সাধারণত কোরআন হিফজ ও তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন দেখি। কিন্তু কোরআন বুঝে পড়া ও মুখস্ত করার এই আয়োজন ব্যতিক্রম অনন্য ও অসাধারণ। এই আয়োজন আমাদের চোখ কুলে দেওয়ার মতো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, দি সিলেট ইসলামি সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ও জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ নজরুল ইসলাম, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের প্রাক্তন আমীর হাফিজ শফিকুর রহমান মাদানী, ইকরা ইন্টারন্যাশনাল ইউকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজির আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে নুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর বলেন, নুর ফাউন্ডেশন সংগঠন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সংগঠনের মূল লক্ষ্য ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার। ভবিষ্যতে বাবার নামে শিক্ষাবৃত্তি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি শিক্ষক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সিলেট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সিলেট ওমেন্স কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। কওমী অঙ্গনেও তিনি জড়িত ছিলেন। তাই এ ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামী ধারার সবাইকে এক করতে চাই। যেই চেষ্টা জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানও করে যাচ্ছেন।
মুকতাবিস উন নূর বলেন, ভবিষ্যতে নুর ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বোপরি মানবাতার কল্যাণে কাজ করাই এই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মিফতাহ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার পরিচালক ও কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের খতিব সাঈদ বিন নূরুজ্জামান।
ক গ্রুপে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিলেট আইডিয়াল মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু সায়েম নগদ ২০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী আল আমিন জামেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নাজিহা সুলতানা নাজা নগদ ১৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র শাকের সালেহ আব্দুল্লাহ নগদ ১০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র পান। খ গ্রুপে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র এমাদ আহমদ নগদ ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী আল মদিনা ইসলামিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মুজতাহিদ নসগদ ২০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র, এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী জামেয়া মাছুমিয়া ইসলামিয়া মাছিমপুর মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নুমান নগদ ১৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র লাভ করেন। এই ৬ প্রতিযোগীকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। এছাড়া ১৪জন প্রতিযোগীকে ৫ হাজার করে মোটন ৭০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, নুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অর্থসহ আমপারা মুখস্ত প্রতিযোগিতায় ৫ শতাধিকেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।