খুলনায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট ঈদ আনন্দ মেলার মাঠে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে পলাশ (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। তার দেহ থেকে বেরিয়ে আসে নাড়িভুড়ি। ক্ষতবিক্ষত পলাশকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার রাতে দৃর্বৃত্তরা পলাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেলে নেয়া হলে আজ সকালে মারা যান। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে নাম বলা যাচ্ছে না। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহত পলাশ সদর থানার মতলেবের মোড়ের মো: আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
সোমবার দুপুরে মেলা মাঠে গিয়ে দেখা যায় খেলনা ট্রেনের সামনের একটি অংশ নিরাপত্তা টেপ দিয়ে ঘিরে রাখা। এখানেই পলাশকে ছুরিকাহত করা হয়েছিল। মাটিতে ছোপ ছোপ টাটকা রক্তের দাগ। এরই মধ্যে আশেপাশের স্টলগুলো খুলতে শুরু করেছে। কয়েকজনের সাথে কথা হলে জানালেন, ওই সময় মেলায় প্রচুর ভিড় ছিল। সবাই যার যার স্টলে ব্যস্ত ছিলেন। টেরই পাননি এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। একটি স্টলের বিক্রেতা মোহাম্মদ শাকিল জানালেন, ১০ দিনের মেলা, তবে মেয়াদ বাড়বে শুনেছি। সামনে পয়লা বৈশাখ। বেচাবিক্রি খুব ভালো। আমরা প্রতিদিনের ভাড়া রাতে পরিশোধ করি।
জানা গেছে, মেলা পরিচালনা করছেন বিতর্কিত যুবলীগ নেতা রাসেল মিয়া (মেলা রাসেল)। এর আগে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার খেলার মাঠ দখল করে নিয়ে দেড় মাসব্যাপী অবৈধ মেলা চালান এই রাসেল। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর মেলা বন্ধ হয়। এবার জাতিসংঘ পার্কে মেলা বসিয়েছেন যেখানে আততায়ীর হামলায় খুনের ঘটনা ঘটলো। কুখ্যাত শেখবাড়ির দোসর বহু বিতর্কের জনক রাসেল ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরেও কিভাবে প্রকাশ্যে অতীতের ন্যায় অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।
মেলার নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, এই মুহুর্তে মার্ডার নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি, মেলা নিয়ে পরে জানাচ্ছি।