ফেনী সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্পতম সময়ে শেষ করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিচারহীনতার কারণেই সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তুহিনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের পাশে সব সময় থাকবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন সেন্টারে ফেনীর প্রাচীনতম পত্রিকা সাপ্তাহিক ফেনী সংবাদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান পৌর প্রশাসক গোলাম মো বাতেন,এডিসি(জেনারেল) মোঃ ইসমাইল হোসেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আবদুল হান্নান জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবু ইউসুফ জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহিম।আরো বক্তব্য রাখেন ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহিম, দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক শাহাদাত হোসেন,প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের। ছাত্রদলের জেলা সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, শিবিরের শহর ও জেলা সভাপতি ওমর ফারুক ও আবু হানিফ।বর্নাঢ্য এই অনুষ্ঠানের সন্চালনায় ছিলেন পত্রিকার সম্পাদক এসএম মাছুম বিল্লাহ।

এসময় সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুর্বৃত্ত চক্রের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। তিনি বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনে ৬১ জন সাংবাদিক হত্যা এবং সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, হাসিনা সরকার সাংবাদিক হত্যা- নির্যাতনকে এক ধরনের বৈধতা দিয়েছিল। ভিন্নমতের সংবাদমাধ্যম বন্ধ ও সম্পাদক- সাংবাদিক নিপীড়ন নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিনত হয়েছিল। এখন আর সাংবাদিক নিপীড়নে রাষ্ট্রীয় আস্কারা নেই। হত্যা- নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।