হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ চুরির ঘটনা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার কমিশন এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। দুদকের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, এই বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ শাখায় আগে থেকে চলমান নথির সঙ্গে এই অভিযোগটি যুক্ত করে অনুসন্ধান করা হবে।

এর আগে, সোনা চুরির ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছিল, যা পিবিআই তদন্ত করছিল। পিবিআই আদালতকে জানিয়েছে যে এটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। এরপর মামলাটি আদালত থেকে দুদকের কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় পুলিশ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল। তারা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুম রানা, মো. সাইদুল ইসলাম শাহেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আকরাম শেখ ও সিপাই মো. রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. আফজাল হোসেন ও মো. নিয়ামত হাওলাদার।

স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম স্বর্ণ খোয়া গেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকারও বেশি। বিমানবন্দরে জব্দ করা স্বর্ণের বার ও অলংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র সাধারণত এই গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত স্বর্ণের হিসাব মেলানোর সময় বিষয়টি প্রথম নজরে আসে।

এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা শুল্ক বিভাগ এ চুরির ঘটনাটি জানতে পারে। পরে ৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।