দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা অধ্যাপক মাহমুদা বেগম ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। রোববার ভোরে রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
মাহমুদা বেগম একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান, পুত্রবধূ ফিরোজা মাহমুদ এবং ছোট বোন মনিরা মাহমুদসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। তিনি দৈনিক আমার দেশ পাবলিকেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের বাংলার শিক্ষক ছিলেন। এ দিন বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমার জানাজা শেষে বিকেলে জুরাইনের পুরনো ভিআইপি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন- অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পৃথক শোক বাণীতে তারা মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। মরহুমার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ধর্ম উপদেষ্টা ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মোরশিদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আকতার প্রমুখ।
জোহরের নামাজের পর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন আজাদ মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহিম। জানাজার আগে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার মা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। তিনি অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। আমার জানা মতে, তিনি কাউকে কষ্ট দেননি। আমার দেশ সম্পাদক আরও বলেন, আমার মা অনেক ছাত্রকে পড়িয়েছেন। এই জানাজায় ছাত্ররা এসেছেন। শিক্ষকতাকালে আমার মা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা করে দেবেন।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আশরাফ উদ্দীন নিজান, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হোসেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আমান আল আযমী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন, অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক, ডা. কামাল উদ্দীন ও ডা. রাজন মন্ডলসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।