এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জমিতে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করায় গ্রামবাসীদের বর্ষা মৌসুমের আমন ধান উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দুই গ্রামের বাসিন্দারা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঘটবর গ্রামের দন্ত চিকিৎসক ও প্রভাবশালী ফরহাদ হোসেন তার বাড়ির সামনে মাছের ঘেরের জন্য কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করে। উঁচু বাঁধ নির্মাণের ফলে ওই গ্রামের প্রায় দুইশত বিঘা আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমের আমন ধান রোপন করতে পারছেন না। আবার আমন ধান রোপণকৃত কৃষকরাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃত্রিম বাঁধটি কেটে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা জানান, দ্রুত বাঁধটি কেটে দিয়ে আমন ধান রোপণে সুষ্ঠু সমাধান চান।
এদিকে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণকারী দন্ত চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন জানান, আমার জমিতে মাছের ঘের রযেছে। আমার জমিতে ছোট করে বাঁধ দিয়েছি। কিছু অংশ পানি যাবার জন্য কেটে দিয়েছে। তবু তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। আমি কি মাছের ঘের করবো না। গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি আমাকে রাজনৈতিক হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তোফায়েল প্রধান জানান, ঘটবর গ্রামবাসীরা কয়েকদিন আগে আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ দিয়েছে, পশ্চিম ঘটবর গ্রামে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করে। এতে ওই গ্রামের বর্ষা মৌসুমের আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। জমি পানিতে তলিয়ে যাবার কারণে কৃষকরা আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না। গ্রাম পুলিশ, মেম্বার ও আমি নিজে গিয়েছি এবং ফরহাদকে বলেছি পানি যাবার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে। উত্তরে সে বলেছে বিবেচনা করে দেখা হবে।
গ্রামবাসীরা রোপা আমন রোপন করতে না পেরে আমাকে বার বার পরিষদে এসে অভিযোগ করে। ফরহাদকে কৃত্রিম বাঁধের মাঝখানে কেটে দিতে বলি তাহলে কৃষকরা তাদের আমন ধান রোপণ করতে পারবে। ফরহাদ কোনো কথা শুনতে রাজি হয়নি।
বিষয়টি পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত আছেন। তিনি বলেছেন, সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠাবেন। ফরহাদ যদি কথা না শুনে সহকারী কমিশনার আমাদের প্রতিনিধির সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটি ভালো সেটি করবেন।
পঞ্চগড়ে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করায় প্রায় দুইশত বিঘা রোপা আমন পানির নিচে
পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জমিতে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করায় গ্রামবাসীদের বর্ষা মৌসুমের আমন ধান উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দুই গ্রামের বাসিন্দারা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঘটবর গ্রামের দন্ত চিকিৎসক ও প্রভাবশালী ফরহাদ হোসেন তার বাড়ির সামনে মাছের ঘেরের জন্য কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করে। উঁচু বাঁধ নির্মাণের ফলে ওই গ্রামের প্রায় দুইশত বিঘা আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমের আমন ধান রোপন করতে পারছেন না। আবার আমন ধান রোপণকৃত কৃষকরাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃত্রিম বাঁধটি কেটে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা জানান, দ্রুত বাঁধটি কেটে দিয়ে আমন ধান রোপণে সুষ্ঠু সমাধান চান।
এদিকে কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণকারী দন্ত চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন জানান, আমার জমিতে মাছের ঘের রযেছে। আমার জমিতে ছোট করে বাঁধ দিয়েছি। কিছু অংশ পানি যাবার জন্য কেটে দিয়েছে। তবু তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। আমি কি মাছের ঘের করবো না। গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি আমাকে রাজনৈতিক হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তোফায়েল প্রধান জানান, ঘটবর গ্রামবাসীরা কয়েকদিন আগে আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ দিয়েছে, পশ্চিম ঘটবর গ্রামে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করে। এতে ওই গ্রামের বর্ষা মৌসুমের আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। জমি পানিতে তলিয়ে যাবার কারণে কৃষকরা আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না। গ্রাম পুলিশ, মেম্বার ও আমি নিজে গিয়েছি এবং ফরহাদকে বলেছি পানি যাবার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে। উত্তরে সে বলেছে বিবেচনা করে দেখা হবে।
গ্রামবাসীরা রোপা আমন রোপন করতে না পেরে আমাকে বার বার পরিষদে এসে অভিযোগ করে। ফরহাদকে কৃত্রিম বাঁধের মাঝখানে কেটে দিতে বলি তাহলে কৃষকরা তাদের আমন ধান রোপণ করতে পারবে। ফরহাদ কোনো কথা শুনতে রাজি হয়নি।
বিষয়টি পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত আছেন। তিনি বলেছেন, সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠাবেন। ফরহাদ যদি কথা না শুনে সহকারী কমিশনার আমাদের প্রতিনিধির সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটি ভালো সেটি করবেন।