বগুড়ায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামকে আদালতে হাজির করার সময় ডিম নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ জনগন। পরে আদালতে হাজির করা হলে একটি হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রবিবার বিকেল ৪ টার দিকে বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এঘটনা ঘটে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিক্সা চালক কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর কবির আমিনুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মেহেদি হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে স্কুল শিক্ষক সেলিম রেজা ও রিক্সা চালক আব্দুল মান্নান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে বগুড়া ডিবি পুলিশের একটি দল আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে এমন খবরে বিক্ষুব্ধ লেকজন আদালত চত্বরে বৃষ্টি উপেক্ষা জড়ো হন। দুপুরের দিকে শাজাহান থানা পুলিশ অপর একজন আসামীকে আদালতে নিয়ে আসলে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন আমিনুল মনে করে ওই আসামীকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে দুপুরের পর থেকে আদালত চত্বরে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়। বিকেল ৪ টার দিকে আমিনুলকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসলে বিক্ষুব্ধ লেকজন তাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত তাকে আদালতে নিয়ে যান। আমিনুল ইসলাম বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ ম-লের ছেলে। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলাসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।