মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : মুরাদনগরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২নং আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৮ জুলাই রাতে মুরাদনগর উপজেলা পীর কাশিমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কড়ইবাড়ী গ্রামে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে। জিজ্ঞেসাবাদে অন্যান্য আসামিদের কাছ থেকে ও ওই বিএনপি নেতাট নাম এসেছে। প্রাথমিক তদন্ত ও নানা দিক বিশ্লেষণ করেই শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকারের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে বাবাকে কালো একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। এরমধ্যে রাতটা উৎকন্ঠায় ছিলাম। এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বাঙ্গরা বাজার থানা খোঁজখবর নিয়ে ও কোনো তথ্য পাইনি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা ডিবি অফিস থেকে একজনের মুঠোফোন করে জানান, ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার বাবাকে সম্প্রতি কড়ইবাড়ীতে ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে শুনেছি। এ মামলার এজাহারে ২৫ নাম্বারে থাকা যে শাহ আলম আছেন তার বসয় ৪০ ও পিতা অজ্ঞাত উল্লেখ আছে। আমার বড় বোনের বয়সই তো ৪০। আমার বাবা এলাকার সনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নয়সও বিস্তারিত পরিচয় এলাকায় সবাই জানেন।তিনটা হত্যা করে কারও এলাকায় অবস্থানের কথা নয়। এছাড়া কাশিমপুর গ্রামে ৭ থেকে ১০ জন শাহ আলম রয়েছেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, শাহ আলম সরকার উপজেলা বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা। তাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে জানি না। আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, শাহ আলম সরকার কে তুলে নেয়া হয়নি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।