বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। হামলার পরপরই গাজীপুরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, রবিউল হাসান জানান, ৪ মে (রোববার) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে এসে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালায়। এতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায় এবং চালক মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন এবং কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপুকে আটক করে।

ডিসি, রবিউল হাসান জানান, “হামলার ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”

হামলার প্রতিবাদে ৫ মে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে গাজীপুরের মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে একটি তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর সভাপতি রেজাউল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি জাকির হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতসহ জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্যে জেলা সভাপতি, ইয়াছিন আরাফাত বলেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহসহ জুলাই বিপ্লবের নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।”

মহানগর সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, “আমরা দাবি জানাই, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক এবং প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”

বক্তারা আরও বলেন, “এই বর্বরোচিত হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। দোষীদের বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আরও বাড়বে।”

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশগ্রহণ করেন।