কারিমুল হাসান, ধুনট : শীত আসে, কুয়াশা বাড়ে, বাড়ে ঠান্ডার প্রকোপও। হিমশীতল অনুভূতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে বাড়তে থাকে পোশাকের দামও। যা নি¤œ ও নি¤œমধ্যবিত্তদের জন্য অনেকটা হতাশার কারণ। শীতের আমেজে এই হতাশা আর দীর্ঘশ্বাসকে পুঁজি করে গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। নিজের প্রয়োজন, শিশুর আবদার, পরিবারের দায়। প্রতিবছরই এই সময়ে সবাইকেই কমবেশি গরম কাপড় কিনতে হয়। বগুড়ার ধুনটে ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কেনার সময় গণমাধ্যমকর্মীর কথা হয় তায়বা নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, শীতের গরম পোশাকগুলো আধুনিক মার্কেটে এক দোকানে এক দাম, আবার অন্য দোকানে আরেক দাম। মার্কেট ঘুরে ঘুরে অনেক বিপাকে পড়তে হয়। সে হিসেবে ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কেনাটাই অনেকটা স্বস্তির।

তানজিলা নামের আরও এক ক্রেতা বলেন, মোটামুটি একই গুণগত মানের সোয়েটার মার্কেটে এক দাম, ফুটপাতে আরেক দাম। গত বছর যেটা মার্কেট থেকে ৬০০ টাকায় কিনেছিলাম, এবার ফুটপাতে একই ধরনের পোশাক পেয়েছি মাত্র ৩৫০ টাকায়। আতিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, শীতকে টার্গেট করে অনেক ব্যবসায়ী ইচ্ছা করেই পোশাকের দাম বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে ফুটপাত নি¤œ ও নি¤œমধ্যবিত্তদের জন্য অনেকটা সাশ্রয়ী।

তবে শুধু ফুটপাতেই যে ভিড় বেশি এমন নয়। মার্কেটেও ভিড় কম নয়। আধুনিক সমাজে নতুন আমেজে নতুন পোশাক না হলে কি চলে? এমন ভাবনা থেকে অনেকে নতুন কালেকশনের খোঁজ করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেও পরে ভিড় আরও বাড়তে পারে এমনটা ভেবেই পোশাক কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধীরে ধীরে মার্কেট, শপিংমল ও ফুটপাতে শীতের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে। নি¤œবিত্তের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের মানুষও এসব দোকানে রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও সোয়েটার, উলের পোশাক, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার ও কানটুপির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।