খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড়স্থ কেএফসি ও শিববাড়ি মোড়ের বাটার শো রুম ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সোমবার খুলনা মহানগরীর কেএফসি ফুডকোর্ট ও বাটা শো রুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে একদল দুর্বৃত্ত সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর কেডিএ এভিনিউয়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনো’স এবং শিববাড়ি সংলগ্ন টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশের বাটার শো রুমে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। কেএফসি ভবনের গ্লাসগুলো ভাংচুর করা হয়। পাশাপাশি কেএফসির আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন বাইরে বের করে ভাংচুর করা হয়। একইভাবে বাটার শো রুম থেকে জুতা লুটপাট করা হয়।
খুলনার বাইরেও বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. আহসান হাবিব বলেন, গ্রেফতারকৃতদের সোনাডাঙ্গা থানায় রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চোরাই ইজিবাইক ও ছাগলসহ গ্রেফতার-২ : খুলনা মহানগরীর বিসমিল্লাহ সড়ক ২নং গলিতে লবণচরা থানার অভিযানে চোরাই ইজিবাইক ও ছাগলসহ ২ চোর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খুলনা সদর থানার দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর সামনের নুর ইসলাম গাজীর ছেলে জামাল গাজী (৪০) ও একই থানার পূর্ব বানিয়া খামারের হাকিম মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা (৩২)।
কেএমপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানান, গত সোমবার দুপুরে মহানগরীর বিসমিল্লাহ সড়ক ২নং গলিতে লবণচরা থানার অভিযানে জামাল ও শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা একটি ইজিবাইক চোরাই এবং একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।