জামায়াতের জাতীয় সমাবেশকে ঘিরে গতকাল শনিবার দিনব্যাপী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছে জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা। রাজধানীর প্রবেশ পথ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোড, শনিরআখড়া রায়ের বাগ, যাত্রাবাড়ি এবং ঢাকার প্রধান সড়ক, শাহবাগ মোড়, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, ঢাকা সিলেট মহাড়কের ভুলতা, গাউছিয়া, তারাবো, সভার, গাবতলী, উত্তরার আজমপুরসহ বিভিন্নগুরুত্বর্পূ স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা। ফলে বিশাল সমাবেশের পরও যানজট তুলনামূলক কম ছিল।
শাহবাগ মোড়ের স্বেচ্ছাসেবক মমিনুল ্ইসলাম জানান, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজে তারা প্রায় ৫০ জন রয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা অ্যাম্বুলেন্স ও অসুস্থ রোগীদের দ্রুত যাতায়াত নিশ্চিত করছি।
যাত্রাবাড়ি এলাকার স্বেচ্ছাসেবক তৌফিক জানান, সমাবেশকে ঘিরে যাতে মানুষের দুভোর্গে না পড়তে হয় সেজন্য আমার স্বেচ্ছাসেবকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যানবাহনগুলো সুশৃংঙ্খল ভবে যাতে যাতায়াত করতে পারে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সকাল থেকেই এসব এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া বাস চলাচল বন্ধ ছিল । তবে রিকশাসহ অন্যান্য গাড়ির চাপ থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকা জাতীয় সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর সড়কে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত নেতাকর্মী ও কর্মমুখী মানুষের চলাচলে দাপট বেড়েছে ব্যটারিচালিত অটোরিকশার।
সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে অংশ নিতে ছুটে এসেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে এবং অটোরিকশায় করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন মানুষ। এছাড়াও সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে কর্মমুখী মানুষের উপস্থিতিও দেখা গেছে। সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় এসব কর্মমুখী মানুষদের অটোরিকশা ব্যবহার করতেও দেখা যায়।
সাব্বির হোসেন নামের আর একজন বলেন, রাস্তায় শুধু মানুষ আর মানুষ। কোনো গাড়ি নেই। গাড়ি না থাকার কারণে রিকশায় যে ভাড়া ৪০ টাকা সেই ভাড়া ৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। এখন রিকশা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় নেই। তাই ভাড়া বেশি হলেও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটর থেকে পল্টনগামী যাত্রী মোর্শেদ বলেন, রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। টুকটাক যেসব গাড়ি চলছে সেগুলোও রাস্তা বন্ধের কারণে যানজটে দাঁড়িয়ে আছে। এখন আর কী করার? যেতে তো হবেই। তাই বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হলো।
