ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুড়িগ্রাম ২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ,এডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার ব্যাপকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।এ আসনে প্রতিদিনই গ্রাম ওয়াড হাট-বাজারে গণসংযোগ করছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর,রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপি থেকে সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, ইসলামি আন্দোলন থেকে নুর বখত ,এনসিপি থেকে আতিক মুজাহিদ. জাপা থেকে পনির উদ্দিন আহ¤েম্মদের নাম শোনা গেলেও এনসিপি ও জাপার কোন দলিয় কার্যক্রম এখনো চোখে পড়ে নাই ।ইসলামি আন্দোলন ছোট পরিসরে দলিয় কর্মী সমাবেশ করলেও গণসংযোগ বা জনবান্ধব কোন কর্মসূচী নিয়ে ভোটারদের নিকট পৌছে নাই। অপর দিকে বিএনপি ৫আগষ্টের পর বিভিন্ন গ্রুপ ও উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।এদের মধ্যে সোহেল গ্রুপ,রানা গ্রুপ,মাহাবুব গ্রুপ ও গোলাম মোস্তফা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।এসব গ্রুপ বিভিন্ন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জরিয়ে পড়লে কেন্দ্রেীয় বিএনপি জেলা ও ফুলবাড়ী উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়। বর্তমানেও বিভিন্ন গ্রুপ একত্রিত না হওয়ায় দলীয় বিশৃংখলার কারলে এখন পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলা কমিটি দিতে পারে নাই। এদিকে তাদের বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে জনসাধারণ ও ভোটাররা অতিষ্ট ।
অপর দিকে জামায়াত দলীয়ভাবে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। বিভিন্ন জনবান্ধব কাজ ও সন্ত্রাস, চাদাবাজীর বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করছে। ভোটারদের সমর্থন অর্জনের লক্ষ্যে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার দিনরাত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জামায়াতের বিশাল জনশক্তিকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের আনাচে-কানাচে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন, জানাচ্ছেন তার প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। স্থানীয় বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত মতবিনিময় সভা, পথসভা ও গণসংযোগে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন তিনি। এতে তিনি ব্যাপকভাবে সাড়া পাচ্ছেন বলে জানা গেছে, তিনি তার তিনি বলেন ,আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, হয়রানি, চাঁদাবাজি, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলবেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান অর্থনীতির জোন চালু, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিকায়ন, কুড়িগ্রাম সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান করবেন, অন্তঃজেলার যোগাযোগ উন্নয়ন সহ কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের পাশাপাশি আরও একটি আন্তঃনগর টেন সার্ভিস চালু, কুড়িগ্রামকে মাদক মুক্ত করা সহ সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, মসজিদ মন্দি সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ের উন্নয়ন নিশ্চিত করে কুড়িগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ কারনে এলাকার ছোট বড় সবার নিকট পরিচিত ও গ্রহনযোগ্য এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলীর নাম ও দাড়িপাল্লার কথা মুখে মুখে । অ্যাডভোকেট মোঃ ইয়াছিন আলী সরকার ১৯৬৯ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। শিক্ষা জীবন শেষে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি সুনামের সাথে আইনজীবী পেশায় কর্মরত থেকে কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।