বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের সহধর্মিণী সাওদা হারুন গতকাল বিকাল ৪টায় রাজধানীর পল্লবীর নিজ বাড়িতে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমার প্রথম জানাযা নামাজ গতকাল বাদ এশা মিরপুর বায়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় জানাযা নামাজ পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কোটখালী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে শেষে মরহুমাকে মৌলভী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

মরহুমা সাওদা হারুনের ইন্তিকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।

গতকাল শুক্রবার দেয়া শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুমা সাওদা হারুন আমাদের প্রাণপ্রিয় দ্বীনি বোন ছিলেন। তিনি আমৃত্যু ফেডারেশনের কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের জন্য মহিলা অঙ্গনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। একই সাথে জালিমের জুলুমের শিকার হয়ে কারারুদ্ধ স্বামী ও সন্তানদের কারাবরণকে হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন। দৃঢ়তার সাথে ইসলামী আন্দোলনের দুঃসময়ে আমাদেরকে সাহস ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা আমাদের বোনের ইন্তেকালে গভীরভাবে ব্যথিত।

নেতৃদ্বয় মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মরহুমের ভুলত্রুটি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করার জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করেন। একই সাথে মরহুমার স্বজনদের শোক কাটিয়ে ধৈর্য ধারন করার শক্তি দান করার জন্য দোয়া করেন।

মরহুমার জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ফেডারেশনের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সহ-সভাপতি কবির আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মো. মহিব্বুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক জামিল মাহমুদ ও সাহায্য-পুর্নবাসন সম্পাদক আবুল হাশেমসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রমুখ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।