যশোরের জাবির হোটেল অগ্নিকাণ্ডে নিহত চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবরার মাশরুন নীলসহ শহীদদের নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ তুলেছেন নিহতদের স্বজনরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যশোর প্রেসক্লাবের সামনে তারা বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।
নিহতদের স্বজনরা বলেন, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বীকৃতি চান না—কিন্তু কারও সঙ্গেই কোনো সাংবাদিক যোগাযোগ করেননি। এটি সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী কাজ বলেও মন্তব্য করেন তারা।
আবরার নীলের মা জেসমিন আক্তার অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, আমার নয় বছরের নিষ্পাপ সন্তান আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। তাকে দুর্বৃত্ত আখ্যা দেওয়া গভীর অবমাননা।
স্বজনরা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে নিহতদের পরিবার ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা রাশেদ খান, শহীদ ইউসুফ আলীর মা শাহীনা খাতুন, শহীদ সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন লাল্টুসহ স্থানীয় নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট যশোর শহরের জাবির হোটেল অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৪ জন। অনেকে তাঁদের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদ’ হিসেবে অভিহিত করেন। এ বিষয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদন স্বজনদের তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়।