খুলনা-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ আলী আজগর লবী বিগত সরকারের সময়ে ৭ দিন ‘আয়নাঘরে’ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আয়নাঘর নিয়ে যত ধরণের নির্যাতনের তথ্য এসেছে-আমাকেও সেই ধরণের নির্যাতন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় চাপ-হয়রানির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। আমার ব্যবসায়িক লাইলেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন স্থগিত করা। এমন নির্যাতন ও হয়রানির পরও টানা তিন বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ূন কবির বালু মিলনাতনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি নির্বাচিত হলে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক চারলেনে উন্নীত, বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেবেন বলেন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শেখ দিদারুল আলম, মো. মিজানুর রহমান মিলটন, কৌশিক দে, আহমদ মুসা রঞ্জু ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ক্লাব সদস্য মো. এরশাদ আলী, এইচ এম আলাউদ্দিন, মো. তরিকুল ইসলাম, কাজী শামীম আহমেদ, সোহরাব হোসেন, রকিব উদ্দিন পান্নুু, এহতেশামুল হক শাওন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক রানা, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, শেখ কামরুল আহসান, মো. আলমগীর হান্নান, মো. মাকসুদুর রহমান (মাকসুদ), এস এম নূর হাসান জনি, মো. জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিলন, দেবব্রত রায়, খলিলুর রহমান সুমন, কে এম জিয়াউস সাদাত, মো. নূর ইসলাম (রকি), প্রবীর কুমার বিশ্বাস, মো. বেল্লাল হোসেন সজল, এস এম ইয়াসীন আরাফাত (রুমী), মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, আল মাহমুদ প্রিন্স, মো. হেলাল মোল্লাসহ ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য ও কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এই সভাপতি মতবিনিময়কালে আসন্ন বিসিবি নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আগামীতে বোর্ডে ক্রিকেট বান্ধব ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমি তামিম ইকবালকে সমর্থন করবো। তিনি ভালো ক্রিকেটার ও মেধাবী। আর খেলা থেকে রাজনীতিকেও দুরে রাখতে হবে। আমি দায়িত্ব পালনকালে বোর্ডে রাজনীতির ছাপ পড়তে দেইনি। ক্রিকেট ও খেলার জন্য কাজ করেছি।

লবী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। সে জন্যই তিনি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে ওই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও প্রার্থী থাকায় তিনি বিষয়টি কোনোভাবেই হালকা করে দেখছেন না বরং জামায়াত প্রার্থীকে তিনি শুধুমাত্র হেবিওয়েট নয় ভেরি হেবিওয়েট হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ফেয়ার নির্বাচন হলে জয়-পরাজয় যাই হোক তিনি হাসি মুখে মেনে নেবেন। একই সঙ্গে আলী আজগর লবী খুলনার ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করা সহ সড়ক উন্নয়ন, সংস্কার এবং ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়েও ভূমিকা রাখার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন।