মোবাইল কোম্পানি রিয়েলমি (জবধষসব)-এর ভোলা অঞ্চলের সেলস ম্যানেজার এহসান এর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় একাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা গত ১১ জুলাই শহরের হোটেল গ্র্যান্ড হলিডে’র সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এহসান রিয়েলমির ভোলা ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মডেলের রিয়েলমি মোবাইল সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে একাধিক ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল একাউন্টের মাধ্যমে অগ্রিম প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যবসায়ী ওবায়েদুর রহমান (৩৮), প্রোপাইটর-এম.এস. বিসমিল্লাহ টেক, জানান- “আমরা নিজেদের জমানো পুঁজি থেকে টাকা দিয়েছি। এহসান আমাদের প্রোডাক্ট সরবরাহ করার কথা বলে টাকা নিয়েছে, কিন্তু টাকা নেয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ৫ জুলাই বেলা ১১টার পর থেকে তার ব্যবহৃত নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”

অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করেন, টাকা নেয়ার পর এহসান বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত প্রোডাক্ট না দিয়ে ও টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ অভিযোগ দায়ের করেন ওবায়েদুর রহমান, যিনি ভোলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েস্টানপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা।

ব্যবসায়ীদের আর্থিক বিপর্যয় : সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মো. শাহজাদা আখন্দ, মো. মোসলেহ উদ্দিন (প্রোপাইটর-রাফিন টেলিকম) এবং আরও অনেকে। তাঁরা বলেন “আমাদের মূলধন শেষ হয়ে গেছে। এ টাকা না পেলে অনেককেই পথে বসতে হবে। এহসানের প্রতারণায় পুরো ব্যবসায়িক কাঠামো ভেঙে পড়েছে।”

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি : ব্যবসায়ীরা এহসানের দ্রুত খোঁজ ও গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা রিয়েলমি কোম্পানির দিক থেকেও সুষ্ঠু পদক্ষেপ দাবি করেন, যেন প্রতিষ্ঠানটি তার প্রতিনিধির দায়িত্ব এড়িয়ে না যায়।

ভোলার এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোবাইল ব্যবসার মতো আস্থাভিত্তিক খাতে এ ধরনের প্রতারণা পুরো এলাকার বাজার ব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।