দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে ঘুষ নেয়ার সময় চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষসহ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে দুদক।

দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং মো. মঈনউদ্দীন। রাজীব চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন বিভাগের সেকশন-৭ (বি)-তে কর্মরত আছেন। আর মঈনউদ্দীন একটি ক্লিয়ারিং-ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তা রাজীবের ঘুষ লেনদেনে মধ্যস্থতা করতেন।

যেভাবে ধরা পড়লেন তারা : মুন্সীগঞ্জের হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান জাপান থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করে। বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চট্টগ্রাম কাস্টমসে জমা দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির হোসেন অভিযোগ করেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও সারওয়ার উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য শুল্কায়নে বিলম্ব করছিলেন। তারা নির্ধারিত শুল্কের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে পণ্য নিলামে তুলে দেয়ার হুমকি দেন।

আমির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের একটি দল ফাঁদ পাতে। মঙ্গলবার বিকেলে দুদকের কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সেজে কাস্টমসে যান। ঘুষের ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করার সময় রাজীব রায় এবং তার মধ্যস্থতাকারী মঈনউদ্দীনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

এই ঘটনায় তিনজনের (রাজীব রায়, সারওয়ার উদ্দিন এবং মঈনউদ্দীন) বিরুদ্ধে দুদক, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।