বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম শেকড়সন্ধানী কিংবদন্তী শিল্পী ছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। লোকসঙ্গীত সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদের পুত্র হিসেবে নয়, স্বীয় যোগ্যতা এবং দক্ষতায় বাংলাভাষাভাষী সমস্ত মানুষের হৃদয়কে জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সমকালীন বাংলাসাহিত্যের খ্যাতিমান কবি মুকুল চৌধুরী। আশির দশকের অন্যতম প্রধান এই কবি লেখার শক্তিমত্তা, স্বকীয়কাব্যভাষা এবং অশ্লীলতামুক্ত জীবনঘনিষ্ঠ সাহিত্য রচনায় পাঠকের হৃদয় কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। অপরপক্ষে সাহিত্য সংস্কৃতির বিশ্বাসী ধারার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত ছিলেন সংস্কৃতিচিন্তক ও গবেষক ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ। তারুণ্যের স্বপ্ন বিনির্মাণে তাঁর লেখালেখি অনুপ্রেরণার সুবাস ছড়িয়েছে। এই তিনজন বিদগ্ধ মণীষী স্মরণে গত শনিবার পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ রাজশাহী আয়োজন করে আলোচনা ও নিবেদিত কবিতাপাঠ। পরিচয়ের সভাপতি কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কথাশিল্পী ও অনুবাদক ড. নাজিব ওয়াদুদ। অতিথি ছিলেন অ্যালবাম সম্পাদক কবি মনজু রহমান। স্মৃতিকথা ও কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি এরফান আলী এনাফ, হাইফেন সম্পাদক কবি প্রত্যয় হামিদ, দৈনিক নতুন প্রভাতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কবি সোহেল মাহবুব, কবি শেখ তৈমুর আলম, ড. মঞ্জিলা শরীফ, গবেষক ড. সায়ীদ ওয়াকিল, আবদুর রাজ্জাক রিপন, সরদার মুক্তার আলী, আহমাদুল হক, সেলিম আল সাঈদ, আহমাদ যুবায়ের, মিলন মিয়া, জসীম উদ্দিন প্রমুখ। কবি ফয়সাল আহমদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ লিখিত গান পরিবেশন করেন শিল্পী শোয়েব আলী, শেখ মোহাম্মদ আলমগীর।
দুই যুবক নিহত : রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডি ওভারপাস এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওভারব্রিজে ধাক্কা খেয়ে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলো, নগরীর চকপাড়া এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে নাহিয়ান হাসান (১৭) ও মেহেরচণ্ডি উত্তরপাড়া মহল্লার পিয়ারুল ইসলামের ছেলে পিয়াসুর রহমান পিয়াস (১৭)। দুজনেই রাজশাহীর খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পরে দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।