বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, জুলাই বিল্পবে সর্বস্তরের ছাত্রজনতা সর্বাত্মক আন্দোলন করেছেন। এই আন্দোলনে শ্রমিক ভাইবোনদের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। পঙ্গুত্বসহ আহত হয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের নাম ইতিহাসে স্বরনীয় হয়ে থাকবে। বুধবার (১১ জুন বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি বি-আখড়া বালিকা বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে যত মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। তার মানে বুঝা যায় শ্রমিকরা এ আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিল। বুক চেতিয়ে লড়াই করে, সংগ্রাম করে নিজেদের রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে শ্রমিকদের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী।

আমাদের মনে রাখতে হবে এই দুরিয়াবি যত মন্ত্র-তন্ত্র রয়েছে, মানুষের মনগড়া যত আইন রয়েছে, এগুলো দিয়ে শ্রমিকদের শ্রমিকদের মূল্যায়ন কখনোই সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন প্রতিষ্ঠিত না হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সুন্নাহর আলোকে সমাজ, শিল্প কারখানা পরিচালিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে না। কারণ দুনিয়ার প্রচলিত আইন দ্বারা কখনো শ্রমিকদের মূল্যায়ন হবে না। দেশে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলেই কেবল শ্রমিকরা তাদের ন্যয্য অধিকার ও মূল্যায়ন পাবে।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সভাপতি আল মামুন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ঠাকুরগাঁও জেলার সহকারি সেক্রেটারী অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহাম্মদ, সদর আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, শহর সেক্রেটারী আব্দুল হালিম, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম।

সভাশেষে খোঁচাবাড়ি বাজারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অফিস উদ্ধোধন করেন অতিথিবৃন্দ।