জুলাই বিপ্লবকে টেকসই ও অর্থবহ করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ প্রতিনিধিত্বশীল ও গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াত আয়োজিত কেন্দ্র পরিচালক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাওলানা নূর মোহাম্মদ রাসেলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খাঁন সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান, মোস্তফা মোল্লা ও আবু খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের পতন হলেও আমাদের পথচলা এখনো শেষ হয়নি; বরং সবে শুরু হয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা অর্জিত বিজয়কে বিতর্কিত ও বিপর্যস্ত করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই এক্ষেত্রে আমাদের উদাসীন হলে চলবে না রবং জুলাই বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে জনবান্ধব নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মূলত: জনগণ দীর্ঘদিন তাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত ছিল। তাই রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পতিত স্বৈরাচারের বিচার দৃশ্যমান করার পর অতিদ্রুততার সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এক্ষেত্রে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের সুপরিকল্পিতভাবে ময়দানে তৎপর হতে হবে। নেতাকর্মীদের বাড়াতে হবে জনসম্পৃক্ততা। জনগণের নানামুখি সমস্যা চিহ্নিত করে তা যথাসাধ্য সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন বিজয়ের অন্যতম অনুসঙ্গ হলো দাওয়াত ও তাবলিগ। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতো। দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আবশ্যকতা সম্পর্কে জনগণকে সাধ্যমত বোঝানোর চেষ্টা করতে। ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেসব ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তি রয়েছে সে সম্পর্কে তাদেরকে যথাযথ ধারণা দেওয়া জরুরি। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে পারলেই দ্বীনের বিজয় অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।