মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের আর বাকি মাত্র ক’দিন। এ উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিদের। ফ্যাশন-সচেতন আর রুচিশীল ব্যক্তিরা ছুটছেন দর্জি বাড়িতে। ফলে কাজের চাপে রীতিমত ঈদের দশ দিন আগেই ক্রেতাদের অর্ডার নেয়া বন্ধ করেছেন তারা। দিন রাত এক করে আয় বাড়াতেই কাজ করছেন খুলনা মহানগর জেলার বিভিন্ন উপজেলার সেলাই কারিগররা। চাঁদ রাতের আগেই ক্রেতাদের হাতে পোশাক তুলে দিতে চেষ্টার অন্য নেই তাদের।

খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, সালোয়ার কামিজ ২৫০-৪০০ টাকা, ব্লাউজ ১৫০, ব্লাউজ (ডবল) ৩০০, পেটিকোট ১০০, ম্যাক্সি ১২০ থেকে ১৩০, গাউন ৩০০ থেকে ৪০০, বোরকা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবী ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

কয়রা উপজেলা সদরের ভিআইপি টেইলার্সের মালিক ইব্রাহিম জানান, গরমের সময় হওয়ায় এবার ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি। বড়দের শার্ট এবং পাঞ্জাবীর চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের সেলোয়ার কামিজের অর্ডার রয়েছে বেশি। তবে অর্ডার নেয়া বন্ধ করেছি ১৫ রোযা থেকে। ঈদের আগে কাস্টমারদের হাতে পোশাক তুলে দিতে কারিগররা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এতে তাদেরও কিছু বাড়তি ইনকাম হচ্ছে। ভিআইপি টেইলার্সে নতুন জামা বানাতে এসেছেন রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, দশম রোযায় দুটি নতুন জামা বানাতে দিয়েছিলাম। আজ ডেলিভারি নিতে এসেছি। নতুন কাপড় পেয়ে ভালো লাগছে।

বটিয়াঘাটা বাজারের স্বপন ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী বিনয় কৃষ্ণ বলেন, সারা বছরের তুলনায় এই সময় সেলাই করা কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকে। বাচ্চাদের তুলনায় বড়দের কাপড়ের অর্ডার বেশি। আমার দোকানে দশজন কারিগর কাজ করে। ঈদকে ঘিরে কারোরই দম ফেলার ফুরসত নেই।