# রাজসাক্ষী হতে এসআইর আবেদন
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় গুলী করে হত্যার পর ছয় জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সেই সাথে এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়ছে। এই মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেন।
এই মামলায় গ্রেফতারকৃত আট আসামীর মধ্যে সাত জন নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে এসআই শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করেছেন। তার এই দোষ স্বীকারের বিষয়টি ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেছেন। তবে রাজ সাক্ষী হতে তার আবেদনের বিষয়ে ট্র্যাইব্যুনাল গতকাল কোন আদেশ দেননি।
এই মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম শুনানি করেন।
এছাড়া এই শুনানিতে অন্যান্য প্রসিকিউটর ও আসামীদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ জুলাই এই মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-২।
১৬ আসামী মধ্যে গ্রেফতারকৃত ৮ আসামী ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, এসআই শেখ আবজালুল হক ও কনস্টেবল মুকুল।
আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনায় করা মামলার পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলী করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল ,তখন একজন জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।