বগুড়ার ধুনটে কৃষিতে সেচ কাজে ব্যবহৃত পল্লী বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ৬ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ২০টির অধিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া এসব ট্রান্সফরমারের বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। এসব চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত সেচ পাম্প মালিকেরা।

জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরঘাট গ্রামের মোজাহার আলী আকন্দের ছেলে কৃষক ওসমান গনির বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওসমান গনি থানায় অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। পরে তিনি ফসল রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে পুনরায় ট্রান্সফরমার কিনে লাগিয়ে নেয়। ট্রান্সফরমার লাগানোর প্রায় ১১ মাস পর একই স্থান থেকে গত ১০ নভেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আবারও ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এতে তার মাথার ওপর আবার ভর করেছে নতুন ট্রান্সফরমারের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে টাকা জমা দেয়ার দুশ্চিন্তা। অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে টানা দুইবার ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক ওসমান গনি। এছাড়াও গত ৮ অক্টোবর গভীর রাতে গোপালনগর ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রাম থেকে আরও ৬টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরআগে গত ২৪ জুলাই মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলি গ্রাম থেকে ৪টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে ১টি সেচ পাম্পের ও ৩টি রাইস মিলের বলে জানা গেছে।