দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। বন্ধ হয়েছে শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, পদ্মার পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নীচে অবস্থান করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী দুই একদিনের মধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের ধারণা।
ভারী বৃষ্টিপাত ও ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে পদ্মায় পানি বাড়ছে। গত ১০দিনে অব্যাহতভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টের বিপদসীমা হলো ১৫ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
দৌলতপুরের মুল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দু’একদিনের মধ্যেই এসব এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন এলাকাবাবাসী। এদিকে বন্যাকবলিত চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৫শতাধিক হেক্টর জমির মরিচ, সবজি, কলা, ভুট্টা, ধান ও পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কৃষকরা।