নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী ভবানীগঞ্জ হাটে সরকারি নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। সূত্র মতে চলতি বছর ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি ইজারা দিতে না পারায় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় খাস খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। গোড়গ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার কাওছার আহমেদহ স্থানীরা কতিপয় প্রভাবশালীকে হাটের খাস খাজনা আদায়ের দায়িত্ব দেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু খাজনা আদায়ে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে নিজের ইচ্ছামতো গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পণ্যের খাজনা আদায় করে আসছেন। সরকারি ভাবে গরু প্রতি ৫০০ টাকা খাজনা নেয়ার নিয়ম থাকলে তারা ক্রেতার কাছ থেকে ৬০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে চাঁদা বাবদ ১০০ টাকা আদায় করছেন। ছাগল প্রতি ১৬০ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও নেয়া হচ্ছে ২’শ থেকে আড়াইশত টাকা । এছাড়া প্রতিমন পিয়াঁজ ৩৫ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, রসুন ৫০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা, প্রতি ধান ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা, হাঁস-মুরগি ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা সহ প্রতি পণ্যের দ্বিগুন খাজনা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। হাট থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া হাটের কোথাও খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা টাঙ্গানো হয়নি। গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের গরু বিক্রেতা একরামুল হক ও মুকুল হোসেন, ফুলকি পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেন জানান বিক্রেতার কাছ থেকে কোন খাজনা নেয়ার নিয়ম না থাকলে বিনা রশিদে ১০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। বড় ভিটা গ্রামের আজিজার রহমান জানান শুক্রবার ( ৩০ মে ) ভবানীগঞ্জ হাট থেকে একটি গরু কিনেছি । আমার কাছ থেকে খাজনা বাবদ ৬০০ টাকা নেয়া হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন একটি মহল অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান জানান সরকারি নিয়মের বাহিরে খাজনা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।