ঈদ যাতে খুলনা মহানগরবাসী শান্তিতে করতে পারে সে জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার মশার বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। হয় মশা থাকবে না হয় কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকবে। এমনই মনোভাব নিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় নগরভবনে কেসিসি নাগরিকদের সাথে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভায় বক্তারা বলেন, মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে কেসিসি সব চেষ্টাই করে যাবে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী সোমবার থেকে নগরীর ১০টি ওয়ার্ডে এক সঙ্গে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হবে। এভাবে তিন দিন পরপর মশার ওধুষ দেয়া হবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড তিনভাগে ভাগ করে কেসিসি কাজ করবে। মতবিনিময় সভায় কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, কেডিএর সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এমএম মাহমুদুর রহমান, কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কোহিনুর জাহান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ নিজামুল ইসলাম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়ব, নাগরিক নেতা এডভোকেট কুদরত ই খুদা, সময়ের খবর পত্রিকার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, আক্তার হোসেন ফিরোজ, নাগরিক নেতা আ ফ ম মুহসীন, এডভোকেট বাবুল হাওলাদার, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, ইকবাল হোসেন তুহিন, নওশাদুজ্জামান পল্টু, খলিলুর রহমান সুমন, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, মাকসুদ আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সঠিক সময়ে মশার ওষুধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। এছাড়াও দখল হয়ে যাওয়া ২২টি খাল উদ্ধার, ময়ুর নদ সংস্কার, দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করা, মশা নিয়ন্ত্রণে সকল ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে জনবল নিয়োগ, মশা নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা-সহ বিভিন্ন মতামত সভায় উঠে আসে। সভায় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ, নাগরিক ফোরামের প্রতিনিধি-সহ এনজিও এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
এদিকে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মশারি মিছিল বের করে। খুলনা নাগরিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মশারীর মিছিলে অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি আ ফ ম মুহসীন, এডভোকেট বাবুল হাওলাদার, সুতপা বেদজ্ঞ, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মিজানুর রহমান বাবু, দেলোয়ার হোসেন, শেখ মফিদুল ইসলাম, মুনীর চৌধুরী সোহেল, ডা. নাসির উদ্দিন, সরদার আবু তাহের, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এইচ এম আলাউদ্দীন, রোটা. কামরুল করিম বাবু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এফ এম মনিরুজ্জামান, খ ম শাহীন হোসেন, এডভোকেট মেহেদী হাসান, প্রফেসর রোটা. উত্তম দাস, সাঈদা পারভীন, সাইফুর রহমান মিনা, জাহানারা আক্তারী, প্রমি আক্তার লিজা, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, মীর কবির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।