মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজার থেকে চান্দপুর বউ বাজার পর্যন্ত মাত্র ২০০ মিটার সড়কের বেহাল দশার কারণে দীর্ঘদিন যাবত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কাপ্তান বাজার থেকে চান্দপুর বউ বাজার পর্যন্ত এই সড়কটি শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নয়, আশ-পাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের জন্যও যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির কোনো প্রকার সংস্কার হয়নি। ফলে পুরো রাস্তায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই গর্তগুলোতে পানি জমে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল রাস্তায় রিকশা, সিএনজি, অটো-রিকশা, ভ্যানগাড়ি ও ইজিবাইক প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়কটি খারাপ হওয়ায় এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী এবং কর্মজীবী মানুষকে কেরানীবাড়ি চৌধুরীপাড়া হয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে যাতায়াত করতে হয়। এতে তাদের প্রতিদিন অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পথচারীদের ভোগান্তি আরও বেশি। বিশেষ করে বর্ষাকালে কাদা ও পানির কারণে হেঁটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী মনে করেন, দীর্ঘদিনের এই অবহেলার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। তারা সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জিলানী, কবির এবং তাহের খন্দকার জানান, রাস্তার এই অবস্থার কারণে ক্রেতারা এই এলাকা দিয়ে আসতে চান না, যা তাদের ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
প্রভাষক মাইনুদ্দিন ও বাপ্পি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা খারাপ হওয়ায় তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বিঘিœত হচ্ছে।’
সাংবাদিক শাহীন মির্জা মন্তব্য করেন, ‘একটি আধুনিক শহরে এমন বেহাল রাস্তা থাকা দুঃখজনক। সিটি কর্পোরেশনের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা।’
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। আমি বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভুইয়া বলেন, রাস্তাটি খুবই জনগুরত্বপূর্ণ। এটি পাকা করার জন্য গত মাসে টেন্ডার হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই কাজ শুরু হবে।