ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার লোভনীয় প্রলোভনে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ। অবশেষে চীনের এক নাগরিকসহ পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এস.এম. শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের একটি চৌকস টিম সাইবার ক্রাইম মনিটরিং কার্যক্রমের আওতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চীনের নাগরিক মা ফিউবিন, বাংলাদেশি নাগরিক টাঙ্গাইলের মিজানুর রহমান (৩১), আব্দুল সাত্তার (৪২), বগুড়ার মাসুম বিল্লাহ (২৫) ও দিনাজপুরের আসাদুজ্জামান (৩২)। তারা সবাই রাজধানীর ভাটারা থানার অন্তর্গত বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চীনের নাগরিক মা ফিউবিন বাংলাদেশে অবস্থান করে অনলাইনে আয় করার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে টেলিগ্রাম অ্যাপের “ওয়ে ফেয়ার ওয়ার্ক সলিউশনস০১৩৫৭” (WayFair Work Solutions01357) নামক একটি চ্যানেলে যুক্ত করতেন। সেখানে নানা প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হতো।

এতে সহায়তা করতেন চীনে অবস্থানরত তার অন্যান্য সহযোগীরা। প্রতারণায় ব্যবহার করা হতো বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্ট। হাতিয়ে নেয়া অর্থ চক্রের সদস্যদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হতো। এই পুরো প্রতারণা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হতো এবং প্রতারণার উদ্দেশ্যে বারবার নতুন মানুষকে টার্গেট করা হতো। জিএমপি জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) রেজাউর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) অশোক কুমার পাল, সহকারী কমিশনার (ডিবি) আমির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।