চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতে ও দিনে সরকারি বাওড় বা মালিকানা জমি থেকে তোলা হচ্ছে বালি ফলে হুমকির মুখে পড়ছে রাস্তাসহ চাষের জমি, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নিশ্চুপ ভূমিকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর মোড়ে একতারপুর বাওড়ের পাশে নির্মান করা হচ্ছে একটি পার্ক। আর এই পার্কের কাজের জন্য ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে টেন্ডার এবং সেখানে কাজ চলমান আছে। তবে একতারপুর বাওড়ে ড্রেজার মেশিন ভিড়িয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে সেখান থেকে বালি তুলে পার্কের বিভিন্ন স্থান সরাসারি ভরাট করছে। এই বাওড়ের পাশেয় ব্যস্ততম হাইওয়ে সড়ক, যেখানে অবস্থিত একটি পোল ফ্যাক্টরি প্রতিদিন বড় বড় ট্রাক পোল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেয়েথাকে। এই বাওড় থেকে বালি উত্তোলন করলে যে কোন সময় রাস্তা ভেঙে যেতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বালি তোলার বিষয় জানতে চাইলে দায়িত্বরতরা কথা বলতে রাজি হয়নি ।
এ বিষয়ে রায়পুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমার পুকুরটা খনন না করলে মাছ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না, এ জন্য ডিসি ও ইউএনওর অনুমতি নিয়ে পুকুরটি খনন করছি, এখানে কোন বালি বিক্রয় করছি না শুধুমাত্র ইউএনও অফিসের কিবরিয়া আমার নিকট থেকে ১৫ গাড়ি বালি নিয়েছে। উথলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মোঃ ইউনুছ আলীর সাথে বালি তোলার বিষয় কথা বললে তিনি বলেন, একতারপুর বাওড় থেকে বালি তুলছে এটা আমি দেখেছি তবে এটা ইউএনও স্যার নিজে দেখভাল করে, এ জন্য আমি যায়নি তা ছাড়া এটা টেন্ডার হয়েছে এটাও আমি জানিনা । আর ধোপাখালী একটি পুকুর খননের জন্য ইউএনও স্যারের অনুমতি আছে তবে যদি কেউ অবৈধ ভাবে বালি তোলে তা হলে এ বিষয়টা ইউএনও স্যারকে বলবো।