বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা : বড়াইগ্রামে আলোচিত শিশু আবির হত্যাকা-ের পুন:তদন্ত করে প্রকৃত খুনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেছেন নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনরা। রোববার উপজেলার মহিষভাঙ্গায় শিশু আবিরের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে আবিরের পিতা কাতার প্রবাসী মিলন হোসেন, তার মা আঁখি খাতুন, দাদী সবেজান বেগম ও মামা সাব্বির হোসেনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবিরের মা আঁখি খাতুন বলেন, আবিরকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী হিসাবে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া প্রতিবেশী শিশু হযরত আলী (১২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু‘ ১২ বছর বয়সের একজন শিশু একা কখনোই এমন হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে না। হত্যার পর আবিরের কাছ থেকে নেয়া মোবাইলটি অভিযুক্ত শিশু’র চাচার ঘর থেকে উদ্ধার করা হলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। যেখানে আবিরের লাশ পাওয়া গেছে তার পাশেই পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে হয়তো খুনীদের দেখা যেতো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই দিনের সব ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে। এ হত্যাকা-ের সাথে অবশ্যই হযরতের পরিবার জড়িত। এ সময় পুন:তদন্তের মাধ্যমে আবির হত্যায় জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে সুষ্ঠু বিচার না পেলে আবিরের মা আতœহুতি দিয়ে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানাবেন বলে হুশিয়ারী দেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে শুধুমাত্র তার খেলার সাথী অপর শিশুকেই অভিযুক্ত হিসাবে প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে। তারা তদন্তে আরো কাউকে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন উপজেলার মহিষভাঙা এলাকার নির্মাণাধীন বনলতা মসলা ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত মাঠে নৃশংসভাবে শিশু আবিরকে হত্যা করে ভুট্টার গাছ দিয়ে ঠেকে রাখা হয়।