ঐতিহ্যবাহী সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তৎকালীন বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলার বাদী ধর্ষিতার স্বামীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে স্বাক্ষি দেন তিনি। ক্যামেরা ট্রায়ালে নির্যাতিত গৃহবধুর সাক্ষ্যগ্রহনের কথা থাকলেও তা আর হয়নি।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পরবর্তী তারিখে ধর্ষিতার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। গত ১৯ মে দুপুরে মামলার বাদীর আংশিক ও এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তৎকালীন দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য সাক্ষ্য দেন।

আগামী সপ্তাহেই ক্যামেরা ট্রায়ালে নির্যাতিতা মহিলার স্বাক্ষ্য নেওয়ার কথা জানান পিপি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ এলাকায় স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে আসা গৃহবধুকে তৎকালীন ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পরে বহিষ্কৃ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপি পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‌্যাব। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগ এদেরকে বহিষ্কার করে। আট আসামিই বর্তমানে সিলেট কারাগারে রয়েছে।