লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসের হাট-রামগতি সংযোগ সড়কে অবস্থিত কুশাখালী ইউনিয়নের পুকুরদিয়া বাজারের এই সেতুটি দীর্ঘ সময় ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেতুর এক পাশ মারাত্মকভাবে ভেঙে গেছে, ফাইলগুলোর প্লাস্টার ও ধসে গিয়ে এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২০২১ সালে জরিপ করে এস্টিমেট দিয়েছে। কিন্তু এখনো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়নি। অথচ প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন হাজার যাত্রী সাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি।
সম্প্রতি ঐ অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে দেখা করে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পুনঃনির্মাণ আবেদন করেন।
অভয়নগর (যশোর) : যশোরের অভয়নগরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের কালভার্ট ধসে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বন্ধ হয়েছে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল। উপজেলার নওয়াপাড়া-ভাঙ্গাগেট-সিদ্ধিপাশা আমতলা আরএইচডি সড়কের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় কর্তৃক (এলজিইডি) মাটি ফেলে নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। তবে কাদামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প সড়কে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সংস্কার নয়, নতুন কালভার্ট নির্মাণের দাবী করেছেন এলাকাবাসী। দুই ভেন্টের নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে বলে জানান যশোর জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে নওয়াপাড়া ভাঙ্গাগেট থেকে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। ওই সড়কের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৎকালিন সময় একটি কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি কালভার্টটি ধসে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনের পুরাতন কালভাটের দুই পাশের রেলিং বাদে সম্পূর্ণ অংশ ধসে পড়েছে। ধসে যাওয়া কালভার্টের এক পাশে কলাগাছ রেখে সতর্ক করা হয়েছে। পাশে বিকল্প সড়কে কাদামাটিতে আটকে থাকা একটি কার্ভাডভ্যান বিকল হয়ে পড়ে আছে।
স্থানীয় ইজিবাইক চালক রহমত উল্লাহ বলেন, দুই দিন আগে ঢাকা থেকে একটি পাটবোঝাই ট্রাক নওয়াপাড়ায় যাওয়ার সময় কালভার্টের ক্ষতি করে। ওইদিন রাতে বৃষ্টির পর চলাচলের অংশ সম্পূর্ণ ধসে যায়।
ঢাকাগামী নড়াইল এক্সপ্রেস নওয়াপাড়া কাউন্টারের মালিক তারেক হোসেন বলেন, কালভার্ট ধসের কারণে ওই পথে ঢাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাদামাটির কারণে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য পথে ঢাকায় যেতে জ্বালানি খরচ বেশি হচ্ছে, সময়ও বেশি লাগছে। যে কারণে ধীরে ধীরে যাত্রী কমতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে রবিবার (১৮ মে) যশোর জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অভয়নগরে ধসে যাওয়া কালভার্ট নতুন করে নির্মাণের জন্য ঢাকায় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদন হলেই ৭/৮ দিনের মধ্যে টেন্ডার দিতে পারবো। ওখানে দুই ভেন্টের নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।’
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহ ত্রিশাল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের ধানীখোলা রোড থেকে ত্রিশাল উজানপাড়া পর্যন্ত পাকা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করা না করায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে আছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করলেও সড়কটি সংস্কার না করায় ওই সড়কে চলাচলকারী মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খানাখন্দে ভরা সড়কে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। এ ছাড়াও মাঝে মাঝে বড় গর্তে পড়ে গিয়ে বিকল হচ্ছে অসংখ্য যানবাহন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল পৌর এলাকার মেইন রোড থেকে উজানপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটি বিস্তৃত। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক। ত্রিশাল পৌর এলাকার অংশে এই দুই কিলোমিটার সড়ক সর্বশেষ প্রায় এক যুগ আগে সংস্কার করা হয়েছিল। চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা। গাড়ি বিকল হয়ে অনেক সময় অচলাবস্থা তৈরি হয়। অটো চালক আনোয়ার হোসেন জানান, দশ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এখন সময় লাগে আধা ঘন্টা। এরপরও যাত্রীরা অসন্তুষ্ট হন। ঝাঁকিতে কোমরে ব্যথা হয়ে যায়। উজানপাড়া এলাকার রং মিস্ত্রি সোহেল মিয়া জানান, এক যুগ ধরে সড়কটি সংস্কার করা হয় না। এই রোড দিয়ে গাড়ী চলতে চায় না।
ত্রিশাল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার জানান এই সড়কটির জন্য এ বছর কোন বরাদ্দ নেই। সড়কটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে।