বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি রূপ দিয়ে পি আর পদ্ধতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভাবে আয়োজন করতে হবে। এর আগে আগামী নবেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আবু সাঈদ মুগ্ধ সহ সকল শহীদদের হত্যার বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দেশ এবং জাতির স্বার্থে সকল শান্তিকামী রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি গতকাল ২১ শে অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধাায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এর আগে দিনব্যাপী আয়োজিত পৃথক রুকন সম্মেলনেও তিনি বক্তব্য রাখেন। কেন্দ্রীয় আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে এই রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রংপুর মহানগরী শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলন এবং সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য ও রংপুর-৩ সদর আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস এফডিইবি এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার শাহ্, জামায়াতের রংপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, জামায়াতের রংপুর মহানগর সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক কাজল, জামায়াতে ইসলামর রংপুর মহানগর সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী ও আল আমীন হাসান, কোতয়ালী থানা আমীর মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, পেশাজীবি সাংগঠনিক থানা-২ এর আমীর অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, পরশুরাম থানা আমীর এডভোকেট মাহবুব আলম, মাহিগঞ্জ থানা আমীর মোহাম্মদ মোহসিন অলী, হাজীরহাট থানা আমীর বেলাল হোসেন, তাজহাট থানা আমীর এডভোকেট রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা মাজাহারুল ইসলাম, কোতয়ালী থানা আমীর মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শাহজাহান সিরাজ, বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদল, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের রংপুর মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট কাওছার আলী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আগামী নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষে র্নিবাচন করতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের দাবীর একটি উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে র্নিবাচনে সকল দল ঐক্যমত হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, নি¤œ কক্ষেও হবে। তা না হলে আর একটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্টরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। জামায়াতে ইসলামী জালিমদের ফিরে আসার সুযোগ দেবে না। সকল গণতান্তিক মনা দলকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে কোন টালবাহানা চলবেনা। এখনও সময় আছে, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও খুনী এবং দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে। বিদ্যমান কাঠামো না বদলালে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের দান এর কিছুই হবে না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগেই বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির দৃশ্যমান বিচার অবশ্যই করতে হবে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের সহায়তায় ১৫ বছর ধরে জাতির উপর জুলুম-নির্যাতন এবং দেশের সম্পদ লুট ও মানুষ খুন করেছে। এজন্য একই সাথে ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারও তিনি দাবী জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘ জুলুম নির্যাতনের বিনিময়ে এদেশের মানুষ এখন ইসলাম মুখী হয়েছে। এই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

মাওলানা হালিম বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে বিএনপি সহ সকল গণতন্ত্রমনা দল আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর আইনি ভিত্তির জন্যই গণভোট প্রয়োজন।