জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। গত কয়েকদিনের লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এবং ভারত থেকে নেমে আসা অভিন্ন কিছু নদী দিয়ে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অভিন্ন চারটি নদী দিয়ে ঢলের পানি এসে হাকালুকি হাওরের তীরবর্তী প্রায় সব এলাকার মানুষ পানিবন্দি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল, ভাটেরা, বরমচাল। জুড়ী উপজেলা জায়ফরনগর পশ্চিম জুড়ী, ও বড়লেখার সুজানগরেরর বেশীরভাগ এলাকার মানুষের বাড়ি ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জেলার মনু নদীর একাধিক জায়গায় ভাঙনের শঙ্কায় অনেকে গরু ছাগল নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির ফলে নদীভাঙনের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। শীত মৌসুমে এসব নদীতে বাঁধ নির্মাণ না করে বর্ষার কাছাকাছি সময়ে বাধ নির্মানের ফলে এসব বাঁধ টেকসই হয়না বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করছেন। মনু নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা জুড়ী নদী ও ফানাই নদীরও। উভয় নদীর পানি ফুসে উঠছে।

জানা যায় ঠিক মতো নদী ড্রেজিং না করার ফলে এসব নদী দিয়ে সহজে পানি নিষ্কাষণ হচ্ছেনা। সন্ধ্যা ৭টা মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপডেট অনুযায়ী মনু নদীর চাঁদনীঘাট অংশে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলাই নদীর ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ২০২২ সালের বন্যার শঙ্কা করছেন অনেকেই।