বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আমরা বিভেদের বাংলাদেশ চাই না। মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ গড়তে সবার ভালবাসা চাই, সহযোগিতা চাই। তাদের পাশে চাই। আমরা কথা দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে যুবকদের দেশ গড়ার কারিগর বানাবো। নারীদের যথাযোগ্য সম্মান দিবো। এই দেশে আর কোন ষড়যন্ত্র হতে দিবো না। জীবন দিবো তবুও কারো লালচক্ষু দেখাতে দিবো না। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই আমানতের খেয়ানত করেছেন। আমানতের মর্যাদা তারা রক্ষা করতে পারেনি। সেবকের কথা বলে ক্ষমতায় এসে তারাই মালিক হয়ে বসেছেন। কম বেশি সবাই এই জাতিকে কষ্ট দিয়েছেন। তিনি বলেন, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, নিপীড়ন, ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের উদ্দ্যোগে শুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে মুজগুন্নী তিতুমীর স্কুল মাঠে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আমীর কাজী বায়েজিদ-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাইমিনুন ইসলাম-এর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরীর সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আলীম, শহীদুল ইসলাম, হোসেন আলী, মাঞ্জারুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আরিফ বিল্লাহ, মোল্লা বাদশা, কাজী রেজাউল ইসলাম, ইয়াসিন খান, তোরাব আলী, মেহেদী হাসান, একেএম তানজিল, শ্রমিক নেতা নাসির উদ্দীন, হাফেজ নাসরুল্লাহ, ছাত্রশিবিরের খালিশপুর থানা সভাপতি মো. আল আমীন, কাজী জিয়াউল ইসলাম প্রমুখ। অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, মাহে রমযান হচ্ছে মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসে নিজেদের পরিপূর্ণ মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে। এই মাসে কুরআন-হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনার পাশাপাশি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করতে হবে। মাহে রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় ঐক্য অটুট রেখে দেশে ইসলামি জাগরণ তৈরির সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রমযান হচ্ছে বদরের মাস, কদরের মাস। এই মাসে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে। এ দেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না।
দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। সর্বোপরি সত্যিকারের মুক্তির জন্য কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবেই ইনশাআল্লাহ।’