বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালির প্রতিপাদ্য ছিল-‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ।’ র্যালিটি মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌণে ৫টায় ময়লাপোতা মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফেরিঘাট মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। র্যালি পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন। র্যালি ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, অফিস সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, ইসরাফিল হোসেন, বায়তুলমাল সম্পাদক আসিফ বিল্লাহ, প্রচার সম্পাদক এস এম বেলাল হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক আহমাদ সালেহীন, এইচআরডি সম্পাদক কামরুল হাসান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আরাফাত হোসেন মিলন বলেন, ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগস্ট পুরো দেশে একটি জাগরণ তৈরি হয়েছিল। তারা আমাদেরকে হত্যা করে, গুম করে, আয়না ঘরে নিয়ে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিনের ইতিহাসের এই অনিবার্য দাবির প্রেক্ষিতে জুলাই আগস্ট বিপ্লব সহযোগিতা করেছিল। সেক্রেটারি রাকিব হাসান বলেন, জুলাই আন্দোলন ছিলো সর্বস্তরের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলন। তাই, আমরা আশা করছি, জুলাই ঘোষণাপত্র কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দলের বক্তব্যের প্রতিচ্ছবি হবে না। এই ঘোষণাপত্রে প্রত্যেক শহীদ গাজীকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
চরমপন্থী নেতা শাহাদাতকে কুপিয়ে ও গুলী করে হত্যা : খুলনায় শেখ শাহাদাত হোসেন (৫০) নামের এক চরমপন্থী নেতাকে গুলী ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন সন্ত্রাসীরা। গত মঙ্গলবার রাত পৌণে ৮টার দিকে মহানগরীর সঙ্গীতা সিনেমা হলের নিচে শফি টায়ারের দোকানে তাকে গুলী করেন দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহাদাত হোসেন মারা যান। স্থানীয়রা জানান, শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গীতা সিনেমা হলের বিপরীত দিক থেকে কয়েকজন ধাওয়া করে। তিনি সঙ্গীতা সিনেমা হলের নিচে শফি টায়ারের দোকানে আশ্রয় নেন। মুখোশ পরা কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে কয়েকটি গুলী ছোড়ে। গুলী তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত শাহাদাত চরমপন্থী দলের নেতা ছিলেন। শাহাদাতের বিরুদ্ধে বোমা মেরে পুলিশ হত্যাসহ একাধিক মামলা ছিল এবং তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তিনি দেড় যুগ কারাগারে ছিলেন। ৭ মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে বের হন। বর্তমানে ভাঙ্গারী ব্যবসা করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।