গ্রাম-গঞ্জ-শহর
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে - রংপুরে উপদেষ্টা ডক্টর রিজওয়ানা
বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসলে দেশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাবে। অনেক সময় আমরা মিথ্যা মামলায়
Printed Edition
বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসলে দেশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাবে। অনেক সময় আমরা মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে দেই বা মিথ্যা মামলায় ফেঁেস গেছে জেনেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে লোকটাকে আমরা মুক্ত করি না। এতদিন বাংলাদেশ যেভাবে চলেছে আগামীতে বাংলাদেশ আর সেভাবে চলবে না।
তিনি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় মিলনায়তনে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক’ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও প্রসিকিউটরদের উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে যদি আপনারা সকলে আমাদের সাথে থাকেন। আর যদি সেটা না হয়, আমরা সম্মিলিত প্রয়াস করতে না পারি তাহলেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, কিন্তু পথটা হবে অনেক বেশি সংঘাতময়। আমরা সকলের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবো। তিনি বলন, কোর্টে যখন আমরা প্র্যাকটিস করি তখন শুনি যে এই বিচারপতি অমুক দলের। যখন আমরা আইনজীবী ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন ভাবতেও পারিনি যে এরকম কথা শুনতে হবে। প্রথমে আমাদের মেনে নিতে হবে যে পারফেক্ট সিস্টেমে দেশটাকে কখনও চালাতে পারিনি। এখনও যে পারফেক্টভাবে চলবে, দেশের আইন-কানুন বা ব্যবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে ওরকম না। তিনি বলেন, আপনি যখন পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কথা বলেন, ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াই করেন, বালু খেকোদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তখন আপনার জন্য কোনভাবেই পরিবেশ রোমন্টিক এজেন্ডা থাকে না। এটা আপনার আমার বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আইনশৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দয়া করে পরিবেশ অপরাধকে হালকাভাবে নেবেন না। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের বিরুদ্ধে এটি কঠিন অপরাধ। পরিবেশ সুরক্ষা আইনের ৪ ধারায় বলা আছে পরিবেশ অধিদপ্তর যদি কোন সরকারি সংস্থা সেটা পুলিশই হোক, ডিসিই হোক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চায় তবে তারা তা দিতে বাধ্য। আমাকে তো বনভূমি দখল হয়ে যাওয়া সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। এছাড়াও কৃষি জমির মাটি কেটে যেন ইট ভাটায় দেয়া না হয় সে বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।