গত সোমবার থেকে গতকাল বুধবার তিন দিন ধরে সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা ৩ দিনের ভারী বৃষ্টি ও পাশর্^বর্তী দেশ ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইনসহ ছোট-বড় কোনো নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, কয়েক দিন ধরে সিলেটের নদ-নদীতে ক্রমাগত পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলই পানি বাড়ার মূল কারণ। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে সিলেটে ৩ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় ড্রেন ময়লায় পরিপূর্ণ থাকায় সহজে ড্রেনের পানি নদীতে পড়ছে না। ফলে নগরীতে দেখা দিয়েছে পানিবদ্ধতা।

পাউবোর তথ্যমতে, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র প্রকৃতিকন্যা জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরেও পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি পেলেও কারও পানিবন্দী অবস্থায় থাকার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যোগাযোগ করলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বন্যার পানি বাড়লে স্বেচ্ছাসেবী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।